Menu
Recent Post

তালের ভাপা কেক একটি প্রাচীন বাঙালি মিষ্টান্ন, যা তালের ঘ্রাণ আর নরম তুলতুলে  মন জয় করে। 

তালের নরম তুলতুলে ভাপা কেক


ঘরেই সহজে তৈরি করা যায় এই মুখরোচক কেকটি।তালের স্বাদ আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী রান্নাগুলোর মধ্যে তালের ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। তারই একটি অসাধারণ মিষ্টান্ন হলো — তালের ভাপা কেক। এটি এক ধরনের বাষ্পে রান্না করা কেক যা নরম, তুলতুলে এবং মুখে দিলে গলে যাওয়ার মতো স্বাদের হয়।

এই রেসিপিতে ব্যবহৃত হয় পাকা তাল, যা থেকে তৈরি তালের রস কেকের মূল স্বাদ এনে দেয়। সাথে থাকে চালের গুঁড়া, নারকেল কুঁচি, চিনি বা গুড়, আর একটুখানি লবণ। ভাপ দিয়ে রান্না করায় এতে তেলের ব্যবহার হয় না বললেই চলে, ফলে এটি স্বাস্থ্যকরও বটে।

তালের ভাপা কেক বানানো যেমন সহজ, খেতেও তেমনই উপাদেয়। এটি অতিথি আপ্যায়ন, ঘরোয়া উৎসব বা বিকেলের নাস্তায় একটি দারুণ সংযোজন হতে পারে। গরম গরম পরিবেশন করলে এর স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। যারা মিষ্টির ভক্ত, তাদের জন্য এই কেক একেবারেই না-মিস করার মতো একটি রেসিপি।


উপকরণ:


  • ডিম: ২ টি
  • চিনি: আধা কাপ
  • তালের পিউরি: আধা কাপ
  • গুঁড়া দুধ: আধা কাপ
  • ময়দা: ১ কাপ (আগেই চেলে নেওয়া)
  • নারকেল: পরিমাণমতো (কুচি করা বা কোরানো)
  • ঘি: ২ টেবিল চামচ
  • বেকিং পাউডার: ১ চা চামচ
  • খাবার সোডা: সামান্য (এক চিমটি)
  • লবণ: সামান্য (এক চিমটি)

প্রস্তুত প্রণালী:


১. ডিম ও চিনি ফেটানো: একটি বড় পাত্রে ডিম দুটি ভেঙ্গে নিন। এর সাথে আধা কাপ চিনি দিয়ে খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন, যতক্ষণ না চিনি পুরোপুরি গলে যায় এবং মিশ্রণটি সাদাটে হয়ে আসে।

২. তরল উপকরণ মেশানো: চিনি গলে গেলে এর মধ্যে তালের পিউরি, গুঁড়া দুধ, ঘি, লবণ, খাবার সোডা এবং বেকিং পাউডার দিয়ে দিন। সব উপকরণ একসাথে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে একটি মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করুন।

৩. ময়দা ও নারকেল মেশানো: এবার মিশ্রণের সাথে আগে থেকে চেলে রাখা ময়দা অল্প অল্প করে মেশাতে থাকুন। সবশেষে কুচি করে রাখা নারকেল দিয়ে আলতো হাতে মিশিয়ে কেকের ব্যাটার তৈরি করে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন কোনো দলা না থাকে।

৪. মোল্ড প্রস্তুত: কেক তৈরির জন্য ছোট ছোট বাটি বা কাপ কেকের মোল্ড নিয়ে নিন। বাটিগুলোর ভেতরে ভালোভাবে তেল বা ঘি ব্রাশ করে নিন। এবার প্রতিটি বাটির তিন-চতুর্থাংশ পরিমাণ কেকের মিশ্রণ দিয়ে ভরে দিন।

৫. সাজানো: ভরে নেওয়া মিশ্রণের উপরে সাজানোর জন্য আরও কিছু নারকেল কুচি ছড়িয়ে দিন। ইচ্ছে হলে আপনার পছন্দমতো তিল, বাদাম কুচি বা কিসমিসও দিতে পারেন।

৬. ভাপানো: একটি স্টিমারে বা বড় হাঁড়িতে পানি গরম হতে দিন। পানি ফুটে উঠলে কেকের বাটিগুলো স্টিমারে সাবধানে বসিয়ে দিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে ঠিক ২০ মিনিট ভাপ দিন।

৭. পরিবেশন: ২০ মিনিট পর একটি টুথপিক বা কাঠি দিয়ে কেকের ভেতরটা পরীক্ষা করে দেখুন। কাঠি পরিষ্কার বেরিয়ে এলে বুঝতে হবে কেক হয়ে গেছে। স্টিমার থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। এরপর বাটি থেকে তুলে নরম তুলতুলে তালের ভাপা কেক পরিবেশন করুন।



টিপস:

চকলেট ফ্লেভার: আপনি যদি চকলেট ফ্লেভার পছন্দ করেন, তবে কেকের ব্যাটারের একাংশের সাথে সামান্য কোকো পাউডার মিশিয়ে নিতে পারেন।

মোল্ডের বিকল্প: ছোট স্টিলের বাটি, কাপ কেকের কাগজ বা হিট-প্রুফ কাঁচের বাটিতেও এই কেক তৈরি করা যাবে।ময়দা চেলে নেওয়া: ময়দা আগে থেকে চেলে নিলে কেক বেশি নরম ও মসৃণ হয়।আপনার রেসিপিটি খুবই চমৎকার! এটি অনুসরণ করলে যে কেউ সহজেই সুস্বাদু তালের কেক বানাতে পারবে।
0

গাঁটি কচু আর চিংড়ি ঘরোয়া রান্নায় রাজকীয় স্বাদ।মাটির ঘ্রাণে চিংড়ি-গাঁটি কচুর ট্রেডিশনাল রেসিপি

চিংড়ি দিয়ে গাঁটি কচু রেসিপি


চিংড়ি আর গাঁটি কচুর অসাধারণ স্বাদে ঘরোয়া এক মুখরোচক রেসিপি! সহজ উপায়ে রান্না করে দিন আপনার পরিবারের সদস্যদের চমক। আজই জেনে নিন এই সুস্বাদু দেশের খাবারটির রেসিপি।

আজকের রেসিপিটি যেমন মজার, তেমনি এর পেছনের গল্পটাও বেশ আকর্ষণীয়। এক সপ্তাহ আগে সেদ্ধ করে ফ্রিজে রেখে দেওয়া গাঁটি কচু দিয়েও যে এত চমৎকার একটি পদ রান্না করা যায়, তা সত্যিই অবাক করার মতো! এই রেসিপিটি শুধু স্বাদে অতুলনীয় নয়, বরং এটি প্রমাণ করে যে সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করলে সবজি দীর্ঘদিন ভালো থাকে। চলুন, দেখে নেওয়া যাক চিংড়ি দিয়ে গাঁটি কচুর এই সহজ ও সুস্বাদু রেসিপিটি।

উপকরণ:

  • গাঁটি কচু / কচু মুখী - ২৫০-৩০০ গ্রাম (সেদ্ধ করে কেটে নেওয়া)
  • চিংড়ি মাছ - ১০০-১৫০ গ্রাম
  • পেঁয়াজ কুচি - ১টি (মাঝারি)
  • টমেটো কুচি - ১টি (মাঝারি)
  • রসুন বাটা - ১ চা চামচ
  • হলুদ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
  • মরিচ গুঁড়া - ১ চা চামচ (বা স্বাদমতো)
  • গরম মসলা গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
  • আস্ত জিরা - ১/২ চা চামচ
  • তেজপাতা - ১টি
  • কাঁচা মরিচ - ৩-৪টি (চিরে নেওয়া)
  • লবণ - স্বাদমতো
  • তেল - ২-৩ টেবিল চামচ
  • পানি - পরিমাণমতো

প্রস্তুত প্রণালী:

১. প্রস্তুতি: গাঁটি কচু আগে থেকে সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে মাঝারি আকারে টুকরো করে নিন।

২. ফোড়ন তৈরি: চুলায় একটি প্যান বসিয়ে তেল গরম করুন। তেল গরম হলে এতে আস্ত জিরা ও তেজপাতা দিয়ে দিন। ৩০ সেকেন্ডের মতো হালকা ভেজে নিন যতক্ষণ না সুন্দর গন্ধ বের হয়।

৩. মসলা কষানো: এবার প্যানে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে টমেটো কুচি দিয়ে দিন। সামান্য পানি ও লবণ দিন যাতে টমেটো তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে গলে যায়।

৪. টমেটো নরম হয়ে গেলে এতে রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া এবং গরম মসলা গুঁড়া দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করুন। মসলা যেন পুড়ে না যায়, তাই প্রয়োজনে অল্প পানি দিতে পারেন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে মসলাটি কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন, যতক্ষণ না তেল উপরে ভেসে ওঠে।

৫. চিংড়ি রান্না: মসলা কষানো হয়ে গেলে এতে চিংড়ি মাছ দিয়ে দিন। ভালো করে নেড়েচেড়ে মসলার সাথে মিশিয়ে নিন। চুলার আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন এবং চিংড়ি সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।

৬. কচু মেশানো: চিংড়ি কষানো হয়ে গেলে সেদ্ধ করে রাখা গাঁটি কচুর টুকরোগুলো প্যানে দিয়ে দিন। মসলা ও চিংড়ির সাথে ভালো করে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে ২-৩ মিনিট কষিয়ে নিন।

৭. শেষ ধাপ: এবার পরিমাণমতো পানি দিন, যাতে কচুর টুকরোগুলো মাখা মাখা হয়। ভালো করে নেড়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। পানি শুকিয়ে এসে ঝোল ঘন হয়ে গেলে উপরে কয়েকটি কাঁচা মরিচ ছড়িয়ে দিন।

৮. আপনার সুস্বাদু চিংড়ি-কচু রান্না একদম তৈরি!

পরিবেশন:

গরম ভাত বা রুটির সাথে এই চমৎকার গাঁটি কচুর রেসিপি পরিবেশন করুন।



বিশেষ টিপস:

গাঁটি কচু আগে থেকে সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে একটি এয়ারটাইট বক্সে করে ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে রাখলে প্রায় এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। এতে ব্যস্ততার মাঝে রান্না করা অনেক সহজ হয়ে যায়।


0

বাঙালির প্রিয় লাবড়া ঘরোয়া স্বাদে|Easy Mixed Vegetable Curry (Labra) Recipe – Simple and Delicious

Mixed Vegetable Curry (Labra)


নানা রকম সবজির মিশেলে তৈরি বাঙালির প্রিয় লাবড়া, ঘরোয়া স্বাদের সহজ ও মজাদার একটি পদ, যা প্রতিটি বাঙালির খাবারের টেবিলে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।

লাবড়া বাঙালির রান্নাঘরের এক অমূল্য সম্পদ। নানা রকম সবজির মিশেলে তৈরি এই ঐতিহ্যবাহী পদটি শুধু স্বাদের দিক থেকেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। পান্তা-ইলিশের সঙ্গী হিসেবে হোক বা ভাত-ডালের সাথে, লাবড়া সব সময় বাঙালির পাতে ঘরোয়া আবহ এনে দেয়। বেগুন, মুলো, কুমড়ো, মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা, পালং শাক সহ নানা সবজির মেলবন্ধনে তৈরি হয় এই লাবড়া, যা রান্না করা যায় অল্প মশলা আর অল্প সময়ে। সহজলভ্য সবজি আর সাদামাটা মশলার গন্ধে রান্নাঘর ভরে ওঠে মায়াবী ঘ্রাণে। ঘরোয়া পরিবেশে প্রিয়জনদের নিয়ে লাবড়ার স্বাদ যেন বাঙালির জীবনেরই আরেকটি গল্প বলে। প্রতিদিনের খাবারের মেনুতে বা উৎসবের দিনে লাবড়া সবসময়ই এক পরিপূর্ণ এবং পরিপূর্ণতার স্বাদে ভরা পদ। ঘরোয়া রেসিপি অনুযায়ী সহজে তৈরি করা যায় বলেই আজও লাবড়া বাঙালির অন্যতম প্রিয় সবজি পদ হয়ে আছে। 


এটি একটি স্বাস্থ্যকর এবং খুবই সুস্বাদু নিরামিষ পদ, যা রুটি, পরোটা বা পোলাওয়ের সাথে খেতে অসাধারণ লাগে।

উপকরণ:

সবজির জন্য:

  • চিচিঙ্গা - ১টি (মাঝারি আকারের)
  • চাল কুমড়া - ১ ফালি (খোসা হালকা সবুজ রেখে কাটা)
  • বেগুন - ১টি (মাঝারি আকারের)
  • বরবটি - ১০০ গ্রাম
  • মিষ্টি কুমড়া - ১ ফালি
  • পেঁপে - ১ ফালি
  • কাঁচা কলা - ১টি (আগে থেকে সেদ্ধ করা)
  • আলু - ১টি (বড়)
  • লবণ - পরিমাণ মতো
  • হলুদ গুঁড়া - পরিমাণ মতো
  • ফোড়ন ও রান্নার জন্য:
  • সয়াবিন তেল - পরিমাণ মতো
  • জিরা - ১ চা চামচ
  • পাঁচফোড়ন - ১ চা চামচ
  • তেজপাতা - ৪টি
  • রসুন বাটা - ১ চা চামচ
  • পেঁয়াজ কুচি - ২টি (বড়, বেশি পরিমাণে)
  • দুধ - ১ কাপ
  • কাঁচা মরিচ - স্বাদ মতো (চিরে নেওয়া)
  • কর্নফ্লাওয়ার - ২ চা চামচ
  • চিনি - ১ চা চামচ
  • ঘি - ৩ টেবিল চামচ

প্রস্তুত প্রণালী:

১. প্রথমে সব সবজি (চিচিঙ্গা, চাল কুমড়া, বেগুন, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে ও আলু) পছন্দমতো আকারে কেটে নিন। সেদ্ধ কাঁচা কলাও কেটে নিন। সব সবজি ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
২. একটি বড় পাতিলে পরিমাণমতো পানি নিয়ে তাতে লবণ ও হলুদ গুঁড়া দিন। পানি ফুটে উঠলে কেটে রাখা সবজিগুলো (সেদ্ধ কাঁচকলা বাদে) দিয়ে দিন এবং ৫০% বা আধা-সিদ্ধ করে নিন। সবজিগুলো ভেসে থাকলে একটি চামচ দিয়ে হালকা চাপ দিয়ে পানির নিচে ডুবিয়ে দিন।
৩. সবজি আধা-সিদ্ধ হয়ে গেলে পানি ঝরিয়ে নামিয়ে নিন।
৪. अब একটি কড়াই বা প্যান চুলায় বসিয়ে পরিমাণমতো তেল দিন। তেল গরম হলে এতে জিরা, পাঁচফোড়ন ও তেজপাতা দিয়ে হালকা ভাজুন।
৫. সুন্দর গন্ধ বের হলে রসুন বাটা দিয়ে কয়েক সেকেন্ড নেড়ে নিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন এবং বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন।
৬. পেঁয়াজ বাদামি হয়ে গেলে এতে ১ কাপ দুধ দিয়ে দিন। দুধ ফুটে উঠলে আগে থেকে আধা-সিদ্ধ করে রাখা সবজি ও সেদ্ধ কাঁচকলা দিয়ে দিন। খুব ভালো করে মসলার সাথে মিশিয়ে নিন।
৭. এবার পরিমাণ মতো লবণ (মনে রাখবেন সবজি সেদ্ধ করার সময় লবণ দেওয়া হয়েছিল) এবং স্বাদ মতো কাঁচা মরিচ দিয়ে নেড়েচেড়ে দিন।
৮. একটি ছোট বাটিতে ২ চা চামচ কর্নফ্লাওয়ার সামান্য পানি দিয়ে গুলে নিন। এই মিশ্রণটি সবজির উপর ঢেলে দিন এবং সাথে সাথে নাড়তে থাকুন যাতে দলা না ধরে যায়। এতে সবজিটা একটু আঠালো ও মাখা মাখা হবে। এই সময় চুলার আঁচ কমিয়ে দিন।
৯. রান্না প্রায় শেষের দিকে এলে ১ চা চামচ চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
১০. সব শেষে, চুলার আঁচ বন্ধ করে ৩ টেবিল চামচ ঘি ছড়িয়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে ২ মিনিট রেখে দিন।



পরিবেশন:

গরম গরম সুস্বাদু এই লাবড়া রুটি, পরোটা বা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশন করুন।

0

রেস্তোরাঁর স্বাদের জাদু এখন ঘরেই — সহজ উপায়ে তৈরি করুন রেস্তোরাঁ স্টাইলে পারফেক্ট বিফ চাপ

বিফ চাপ



বিফ চাপের নাম শুনলেই জিভে জল এসে যায়! আর যদি হয় রেস্তোরাঁর মতো পারফেক্ট স্বাদ আর মশলার ঘ্রাণে ভরপুর, তাহলে তো কথাই নেই। আজকের এই ব্লগে শেয়ার করেছি কীভাবে ঘরেই অল্প সময়ে এবং সহজ উপায়ে রেস্তোরাঁ স্টাইলে পারফেক্ট বিফ চাপ তৈরি করবেন। 

মাংস নরম করার কৌশল থেকে শুরু করে সঠিক মশলার পরিমাণ, ভাজা আর পরিবেশনের স্টাইল—সবকিছু নিয়েই রয়েছে বিস্তারিত নির্দেশনা। আপনার অতিথিদের চমকে দিতে আর নিজের রান্নায় পাকা হাতের ছোঁয়া আনতে পড়ুন এই রেসিপি আর রান্না করুন স্বাদের দারুণ এক বিফ চাপ।



রেস্তোরাঁর স্বাদের মতো নরম ও মশলাদার বিফ চাপ ঘরেই তৈরি করুন সহজ উপায়ে। পারফেক্ট বিফ চাপ রেসিপি জানতে পড়ুন আমাদের ব্লগ এবং উপভোগ করুন সুস্বাদু খাবার।

বিফ চাপ



উপকরণ:


স্পেশাল মশলা তৈরির জন্য:


কাবাবচিনি: ২টি
গোলমরিচ: ১/২ চা চামচ
শাহী জিরা: ১/২ চা চামচ
সাদা জিরা: ১ চা চামচ
কালো এলাচ: ১টি
সাদা এলাচ: ৬টি
স্টার মশলা (তারা মৌরি): অর্ধেকটা
দারচিনি: ২-৩ টুকরো
তেজপাতা: ২টি

বিফ চাপ



পেস্ট তৈরির জন্য:


চিনাবাদাম: ১/২ কাপ
কাজুবাদাম 
টমেটো: ২টি (মাঝারি আকারের)
পেঁয়াজ কুচি: ১/২ কাপ
পেঁয়াজ বেরেস্তা: ১ কাপ
টক দই: ১ কাপ
সাদা তিল: ১ টেবিল চামচ
পোস্তদানা: ১ চা চামচ
আদা: ১ ইঞ্চি (স্লাইস করা)
পেঁয়াজ বেরেস্তা: ১ কাপ
মূল রান্নার জন্য:
গরুর মাংস: ১ কেজি (চর্বি ছাড়া)
লাল মরিচের গুঁড়া: দেড় চা চামচ
হলুদের গুঁড়া: ১ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া: ১ চা চামচ (ভর্তি করে)
জিরা গুঁড়া: ১ চা চামচ (ভর্তি করে)
সরিষার তেল: ২ টেবিল চামচ
সয়াবিন তেল: ১/২ কাপ
ঘি: ২ টেবিল চামচ + ১ টেবিল চামচ
কাশ্মীরি লাল মরিচের গুঁড়া: দেড় টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক, সুন্দর রঙের জন্য)
পানি: প্রায় ১ কাপ
গুঁড়া দুধ ও পেঁয়াজ বেরেস্তার মিশ্রণ: ৩ টেবিল চামচ
কেওড়া জল: ১/২ চা চামচ
গোলাপ জল: ১/২ চা চামচ
চিলি ফ্লেক্স: দেড় চা চামচ (স্বাদমতো কম বা বেশি)
চিনি: ২ চা চামচ


বিফ চাপ



প্রস্তুত প্রণালী:


ধাপ ১: স্পেশাল মশলা তৈরি


প্রথমেই মশলা তৈরির উপকরণগুলো (কাবাবচিনি, গোলমরিচ, জিরা, এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা ইত্যাদি) একটি প্যানে হালকা টেলে নিন। ঠান্ডা হলে গ্রাইন্ডারে ভালোভাবে গুঁড়া করে একটি স্পেশাল গরম মশলা তৈরি করে নিন।

ধাপ ২: মাংসের জন্য পেস্ট তৈরি


একটি ব্লেন্ডার জারে চিনাবাদাম, টমেটো, পেঁয়াজ কুচি, পেঁয়াজ বেরেস্তা, টক দই, সাদা তিল, পোস্তদানা এবং আদার স্লাইস একসাথে নিয়ে মসৃণ করে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন।

ধাপ ৩: মাংস ম্যারিনেশন


একটি বড় পাত্রে মাংস নিন। এর সাথে তৈরি করে রাখা পেস্ট, লাল মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, জিরা গুঁড়া এবং তৈরি করা স্পেশাল মশলা থেকে ২ টেবিল চামচ দিন। সাথে ২ টেবিল চামচ সরিষার তেল দিয়ে সবকিছু খুব ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ঢাকনা দিয়ে কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টার জন্য রেখে দিন।

ধাপ ৪: রান্না শুরু


একটি কড়াইয়ে হাফ কাপ তেল ও ২ টেবিল চামচ ঘি গরম করুন। এতে কয়েকটি গোটা গরম মশলা (দারচিনি, তেজপাতা, সাদা এলাচ) দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে সুগন্ধ বের হলে ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে দিন। মাংসটাকে ভালোভাবে কষাতে থাকুন।

ধাপ ৫: গ্রেভি ও পানি যোগ


কয়েক মিনিট পর ম্যারিনেশনের বাটিতে লেগে থাকা বাকি মশলা বা গ্রেভিটুকু দিয়ে দিন। সুন্দর রঙের জন্য কাশ্মীরি লাল মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন। এরপর ব্লেন্ডার ও বাটি ধুয়ে প্রায় এক কাপ পানি দিয়ে দিন।

ধাপ ৬: দমে রান্না


এবার চুলার আঁচ একদম কমিয়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা রান্না করুন। এই সময়ের মধ্যে মাঝে মাঝে ঢাকনা তুলে নেড়ে দিতে হবে, যাতে নিচে লেগে না যায়। প্রয়োজনে অল্প গরম পানি যোগ করতে পারেন। ২ ঘণ্টা পর মাংস একদম সিদ্ধ ও নরম হয়ে যাবে।

ধাপ ৭: শেষ মুহূর্তের উপকরণ


রান্নার একদম শেষে ৩ টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ ও বেরেস্তার মিশ্রণ, হাফ চা চামচ করে কেওড়া ও গোলাপ জল, দেড় চা চামচ চিলি ফ্লেক্স, ২ চা চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ ঘি এবং আরও ১ চা চামচ স্পেশাল গরম মশলা যোগ করুন।

ধাপ ৮: পরিবেশন


এ পর্যায়ে চুলার আঁচ সামান্য বাড়িয়ে সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এক-দুই মিনিট নেড়েচেড়ে চুলা বন্ধ করে দিন। তৈরি হয়ে গেল আপনার রেস্তোরাঁর স্বাদের "সুলতান'স ডাইন" স্পেশাল বিফ চাপ! গরম পরোটা বা নানের সাথে পরিবেশন করুন।

বিফ চাপ


0

বাড়িতে সহজ উপায়ে তৈরি করুন নরম আর মজাদার বটি কাবাব – সম্পূর্ণ রেসিপি ধাপে ধাপে



বটি কাবাব আমাদের সবার প্রিয় একটি মজাদার স্ন্যাকস বা মূল খাবার।আজকে আমি শেয়ার করব খুব মজার একটি খাবার, যা খুব সহজেই রান্না করা যায়। কোনো ঝামেলা ছাড়াই তৈরি করা যায় এই সহজ কিন্তু সুস্বাদু খাবারটি, যার নাম হলো বটি কাবাব। ঝটপট তৈরি করা যায় এমন এই রেসিপিতে রয়েছে নরম ও রসালো কাবাব তৈরির সহজ উপায়। অল্প উপকরণ আর সহজ পদ্ধতিতে ঘরেই বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু বটি কাবাব আর মুগ্ধ করুন পরিবার ও অতিথিদের।


উপকরণ ও প্রস্তুত প্রণালী




ধাপ ১: মাংস প্রস্তুত ও প্রথম মেরিনেশন


উপকরণ:

হাড় ও চর্বি ছাড়া সলিড গরুর মাংস: ৫০০ গ্রাম (ছোট ছোট টুকরো করা)
এলাচ: ২টি
তেজপাতা: ১টি
দারুচিনি: ১টি
লবণ: স্বাদমতো
মরিচ গুঁড়া: ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া: আধা চা চামচ
মাংসের মশলা: ১ চা চামচ
আদা-রসুন বাটা: ১ টেবিল চামচ
টমেটো সস: ১ টেবিল চামচ

প্রণালী:

প্রথমে মাংসের টুকরোগুলোর সাথে উপরের সব উপকরণ খুব ভালো করে মেখে নিন। এই কাজটি হাত দিয়ে করলে মশলা মাংসের ভেতরে ভালোভাবে প্রবেশ করবে।

বটি কাবাব রেসিপি


ধাপ ২: মাংস রান্না


মশলা মাখানো মাংস একটি পাত্রে নিয়ে মাংসের সমান পানি দিন। এবার এটিকে চুলায় বসিয়ে দিন। সাধারণত আমরা যেভাবে মাংস রান্না করি, ঠিক সেভাবেই রান্না করতে হবে যতক্ষণ না মাংস ১০০% সেদ্ধ হয় এবং পানি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়।

রান্না শেষে মাংস একদম নরম হয়ে যাবে, যা চাপ দিলে সহজেই ভেঙে যাবে। এখন মাংস চুলা থেকে নামিয়ে পুরোপুরি ঠান্ডা করে নিন।
ধাপ ৩: ভাজার জন্য কোটিং তৈরি।


বটি কাবাব রেসিপিবটি কাবাব রেসিপি



ধাপ ৩: ভাজার জন্য কোটিং তৈরি


উপকরণ:

ধনিয়া ও জিরা গুঁড়া
চিলি ফ্লেক্স: স্বাদমতো
গরম মশলার গুঁড়া
কর্নফ্লাওয়ার: ১ টেবিল চামচ
ডিম: পরিমাণমতো (সাধারণত একটি ডিমের অর্ধেক বা প্রয়োজন অনুযায়ী)


বটি কাবাব রেসিপি



প্রণালী:

রান্না করে ঠান্ডা করা মাংসের ওপর কোটিংয়ের জন্য রাখা সব শুকনো উপকরণ ছিটিয়ে দিন। এরপর পরিমাণমতো ফেটানো ডিম দিয়ে সবকিছু খুব ভালোভাবে মেখে নিন, যেন প্রতিটি মাংসের টুকরোর গায়ে একটি সুন্দর আবরণ তৈরি হয়।

বটি কাবাব রেসিপি



ধাপ ৪: কাবাব ভাজা


প্রণালী:

চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তাতে পরিমাণমতো তেল দিয়ে গরম করুন। তেল গরম হয়ে এলে মশলা মাখানো মাংসের টুকরোগুলো একে একে দিয়ে দিন। যেহেতু মাংস আগে থেকেই রান্না করা, তাই এগুলো ভাজতে খুব বেশি সময় লাগবে না। এক পাশ সোনালি হয়ে এলে উল্টে দিয়ে অন্য পাশও ভেজে নিন।
"দেখুন, মাংস ভাজা হয়ে গেছে! রান্নাটা খুবই সহজ এবং মজাদার। যদি রেসিপিটি ভালো লাগে, বাসায় অবশ্যই ট্রাই করবেন। 

0

৪টি বীজে লুকানো স্বাস্থ্য রহস্য: কুমড়ো, তিসি, তিল ও সূর্যমুখীর আশ্চর্য গুণ|ডায়াবেটিস রোগী, ওজন কমাতে বা রূপচর্চা শরীরের জন্য গোপন সুপারফুড

কুমড়ো, তিসি, তিল ও সূর্যমুখীর আশ্চর্য গুণ

পেটের যত্ন থেকে হার্টের সুস্থতা: ৪টি সুপার সিডের গুণাগুণ:


আজকের দিনে আমরা যতটা স্বাস্থ্য সচেতন হচ্ছি, ততটাই খুঁজছি প্রাকৃতিক, পুষ্টিকর এবং সহজলভ্য উপায়। এমনই চারটি ছোট কিন্তু শক্তিশালী উপাদান হলো — কুমড়োর বীজ, তিসির বীজ, তিলের বীজ এবং সূর্যমুখীর বীজ। এদের প্রতিটিই যেন প্রকৃতির একেকটি পুষ্টিবোমা! চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বীজগুলোর গোপন স্বাস্থ্য রহস্য।

এই চারটি ছোট বীজ কিন্তু পুষ্টির এক বিশাল ভাণ্ডার। এদের নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে আপনি পেতে পারেন সুস্থ শরীর, মসৃণ ত্বক এবং শক্তিশালী হৃদয়।হাড় ও জয়েন্টের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কয়েক ধরনের বীজের মিশ্রণ বেশ কার্যকর। নিয়মিত খেলে হাড় ও জয়েন্ট সুস্থ থাকবে।বয়স বাড়ার সঙ্গে শরীরে হাড় ও জয়েন্টগুলোর কাছে খবর পৌঁছে যায়। 

ধীরে ধীরে এদের কার্যক্ষমতা কমতে শুরু করে। শুরু হয় হাত ঝিমঝিম দিয়ে। তারপর ব্যথা হয়; শেষে অসাড়তা। এটি একটি প্রাকৃতিক বৃত্ত, যা আমাদের সার্কেডিয়ান রিদমে প্রভাব বিস্তার করে। সেই সঙ্গে নানা রোগ আসতে থাকে। আর্থ্রাইটিস বা বাত একধরনের জয়েন্টের রোগ, যা জয়েন্টগুলোয় প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং ব্যথা, ফোলা ও কঠিন করে। বিভিন্ন কারণে আর্থ্রাইটিস হতে পারে। এর প্রকারভেদ অনুযায়ী লক্ষণ ও চিকিৎসার পদ্ধতিও ভিন্ন হয়।

এ সমস্যায় প্রকৃতিতে সুস্থ করার ও সুস্থ থাকার উপায় আছে। আপনার হাড় ও জয়েন্টের স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করার জন্যও আছে প্রাকৃতিক সমাধান।এর সমাধান হতে পারে বিভিন্ন বীজের সাধারণ মিশ্রণ; যাতে থাকতে পারে মিষ্টিকুমড়া, সূর্যমুখী, তিল ও তিসির বীজ। এটা খেয়ে আপনি আনন্দে থাকতে পারবেন। এই বীজগুলো কেবল প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর নয়, আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করাও সহজ। এই বীজের মিশ্রণ দিনে মাত্র এক টেবিল চামচ হাড় ও জয়েন্টগুলো শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।

সকালে খালি পেটে এই ৪টি বীজ খেলেই দেখবেন ম্যাজিক!সকালে খালি পেটে ১ চামচ করে এই চারটি বীজ খেলে হজম, ত্বক, চুল ও শরীরের শক্তি—সব দিকেই উন্নতি লক্ষ্য করা যায়।


মিষ্টিকুমড়ার বীজ (Pumpkin Seed): 

জিঙ্ক ও ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর। ঘুম এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যা হাড়ের অখণ্ডতা ও শক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোয় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা জয়েন্টের ব্যথায় সহায়তা করতে পারে।

সূর্যমুখীর বীজ ( Sunflower Seed): 

 ভিটামিন E ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, ত্বকের জন্য উপকারী।একটি দুর্দান্ত উৎস। এটি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে আপনার হাড় ও জয়েন্টগুলোকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।

তিলের বীজ (Sesame Seed): 

হাড়ের গঠনে সাহায্য করে, ক্যালসিয়ামে ও দস্তা  ভরপুর।  যা হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে এবং হাড়ের রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে। তিলের বীজেও এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা জয়েন্টের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

তিসির বীজ ( Flax Seed ): 

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের দারুণ উৎস, হজমে সাহায্য করে। যা তাদের প্রদাহবিরোধী প্রভাবের জন্য পরিচিত। তিসির বীজ জয়েন্টের ব্যথা কমাতে ও জয়েন্টকে নমনীয় রাখতে সাহায্য করতে পারে।

 ঘরেই বানিয়ে ফেলুন ৪ সিডস মিক্স পাউডার – প্রতিদিন খান ১ চামচ!এই চারটি বীজ শুকিয়ে হালকা ভেজে পাউডার করে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন ১ চামচ করে খেলে পেতে পারেন অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা।

মিশ্রণ প্রস্তুতি:

সমান অনুপাতে মিষ্টিকুমড়া, সূর্যমুখী, তিল ও তিসি কাঁচা বা হালকা সেঁকে নেওয়া বীজ শুকনা অবস্থায় ব্লেন্ড করে বা পিষে নিতে হবে। বীজগুলোকে সহজে হজম করতে ও পুষ্টি ধরে রাখতে পিষে নেওয়া উত্তম। মিশ্রণকে তাজা রাখতে একটি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে।

খাবার নিয়ম:

প্রতিদিন সকালে বা দুপুরে সালাদে বা টক দইয়ের ওপর এই বীজের মিশ্রণের এক টেবিল চামচ দিয়ে অথবা স্মুদির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। ঘরে খামিরের সঙ্গে মিশিয়ে রুটি বানানো যেতে পারে।


উপকারিতা:

ওজন কমাতে ও শরীর ডিটক্সে সাহায্য করে এই বীজগুলো এই বীজগুলোতে থাকা ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এগুলো শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে কার্যকর।
 
  • হাড়ের ঘনত্ব: এসব বীজে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম হাড়ের ঘনত্ব ও শক্তি বাড়িয়ে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।হার্ট ও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
  • জয়েন্টের নমনীয়তা: তিসির বীজে থাকা ওমেগা–থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড জয়েন্টের নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • প্রদাহ হ্রাস: এসব বীজের প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য জয়েন্টের সমস্যা, বিশেষত ফোলা ও ব্যথা হ্রাসে সহায়তা করে।
  • ঘুমের মান উন্নত করে ট্রিপটোফ্যানের কারণে
  • ইমিউন সিস্টেমকে করে মজবুত
  • হরমোন ব্যালান্সে সাহায্য করে, বিশেষ করে নারীদের জন্য
  •  প্রস্টেট সুস্থ রাখে
  •  চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা বার্ধক্য রোধে সাহায্য করে

এই বীজের মিশ্রণ খাবারের দৈনন্দিন রুটিনে যোগ করতে পারলে হাড় ও জয়েন্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। পাশাপাশি এর স্বাদ খাবারে বৈচিত্র্য আনবে।

আপনি কি এর মধ্যে কোন বীজ প্রতিদিন খান? আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করুন! 😊

0

 মসলা চায়ের মসলা রেসিপি | Masla Cha Masla Recipe


মসলা চায়ের মসলা রেসিপি পারফেক্ট যেভাবে তৈরি করবেন

মসলা চায়ের মসলা রেসিপি।বিভিন্ন ধরণের মসলা দিয়ে মসলা চায়ের মসলা।চা খেতে কার না ভালো লাগে।শরীরকে ঝরঝরে ও চাঙ্গা রাখতে চায়ের কোন বিকল্প নেই।চায়ে মসলা মিশ্রিত করা মানে তাতে ভিন্ন এক স্বাদ পাওয়া।এটি খেতে যেমন চমৎকার, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

উপকরণ:

  • এলাচ                              ২০ গ্রাম
  • বড় এলাচ                       ৪ টি
  • দারুচিনি                        ১০ গ্রাম
  • গোলমরিচ                     ১০ গ্রাম
  • লং                                   ৫ গ্রাম
  • মৌরি                             ১০ গ্রাম
  • আদা                              ১৫ গ্রাম
  • তুলসী                           ৭- ৮ গ্রাম
  • মুলেঠি                             ১৫ গ্রাম
  • তালমিছরি                      ২৫ গ্রাম

প্রণালি:

ফ্রাই প্যানে  ২০ গ্রাম এলাচ,১৫ গ্রাম শুকনো আদা,১০ গ্রাম গোলমরিচ,১০ গ্রাম দারুচিনি,৪টি বড় এলাচ উপরের আবরণ ফেলে দিয়ে শুধু দানাগুলো নিবেন,৫ গ্রাম লং , ১০ গ্রাম মৌরি সব দিয়ে (গ্যাসের তাপ কমিয়ে ) আস্তে আস্তে নেড়ে ভেজে নিন যতক্ষণ না মসলা থেকে গ্রান বের হয় তবে ৫- ৬ মিনিটের মধ্যে হয়ে যাবে তারপর গ্যাস বন্ধ করে দিন ।


মুলেঠি

তারপর ফ্রাই প্যান যতটুকু গরম আছে তাতেই আরো দুটো মসলা ভেজে নিন ৭- ৮ গ্রাম তুলসী গাছে বিচিসহ পাতা শুকনো/ কাঁচা পাতা , ১৫ গ্রাম মুলেঠি ভেঙে নিবেন দিয়ে নেড়ে ভেজে নিন।

 


তুলসী

এরপর একটা বাটিতে মসলাগুলো ঢেলে রাখেন ঠান্ডা হওয়ার জন্য।
ঠান্ডা হয়ে গেলে ২৫ গ্রাম তাল মিরছি (তবে ডায়াবেটিস থাকলে তাল মিরছি দিবেন না ) এবার মসলার সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন।তারপর গ্রাইন্ডারে দিয়ে গ্রাইন্ড করে নিন।একদম মিহি গুঁড়া করবেন।একটি কাচের বয়ামে মুখবন্ধ করে সংরক্ষণ করবেন। অনেক দিন খেতে পারবেন।

মসলা চা তৈরি

৪ কাপ চায়ের জন্য – ১/৪  চা চামচ মসলা দিবেন
এক কাপ চায়ের জন্য – এক চিমটি একটু কম মসলা দিবেন
মনে রাখবেন চা হয়ে যাওয়ার পর শেষের দিকে মসলা দিবেন।

0

তালের ভাপা কেক নরম তুলতুলে স্বাদের এক অপূর্ব রেসিপি|Steamed Palm Cake

তালের ভাপা কেক একটি প্রাচীন বাঙালি মিষ্টান্ন, যা তালের ঘ্রাণ আর নরম তুলতুলে  মন জয় করে।   ঘরেই সহজে তৈরি করা যায় এই মুখরোচক কেকটি।তালের স...